Posts

Showing posts from October, 2018

পাবলিক, ন্যাশনাল, প্রাইভেট ভার্সিটি এবং চাকরি।

Image
ঢাকায় একটা মেসে থাকতাম আমরা চারবন্ধু। বুয়া অসুস্থ থাকায় দুই দিন আসতে পারেনি। তাই আমাদের হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে হইছিলো। প্রতি বেলায় সবজি আর ডাল দিয়া খাইছি তবুও একেকজনের বিল ১০০ টাকার উপরে হইছিলো। তখন রাতে আমরা গল্প করলাম জীবনে কে কি করব যদি পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স না পাই। একেকজন একেকটা মত দিলো। কিন্তু একজন বললো ভাতের ব্যবসা করব। সবাই ওর মতামতে এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। ভার্সিটি গুলিতে পরীক্ষা দিলাম একেকজন একেক জায়াগায় ভর্তি হলাম। দুরত্ব বেড়ে গেলো আমাদের সবাইর মাঝে। যে টান টান উত্তেজনা ছিল কিছু করা নিয়ে সেটা মাটির সাথে মিশে গেলো।  কেউ হতাশ পাবলিকে চান্স না পাওয়ায়, কেউ হতাশ মন মত সাবজেক্ট না পাওয়ায়। একজন অনেক যায়গায় চান্স পায়,আবার অনেকে কোথাও চান্স পায় না। জীবনে ভাল কিছু করা বা সফল হওয়ার জন্য এটাই একমাত্র পন্থা না। আমরা প্রায় সবাই বলি যে ভর্তি পরীক্ষা হল জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এখানে ভাল করতে পারলে জীবনটাই বদলে যাবে। হয়তো আমিও বলি। তার মানে এই না যে এটাই জীবন। ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় না টিকলে জীবন থেমে যাবে, আপাত দৃষ্টিতে হয়তো এমনটা মনে হয়। তবে এখানে চান্স পাওয়াই সবকিছু না। ...

মন, প্রাণ ও হৃদয় কাকে বলে এবং আত্মার সাথে মস্তিষ্কের সম্পর্ক কি?

Image
সাইকোলজিক্যাল এবং দার্শনিক একটা প্রশ্ন ছিল। আর তা হলো- 'মন, প্রাণ ও হৃদয় কাকে বলে এবং মস্তিষ্কের সাথে আত্মার সম্পর্ক কী'। অনেকেই এই বিষয়ে আমার থেকে আরো ভাল জানেন। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করতে গিয়ে বড় করে ফেলেছি। সেজন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর উক্ত প্রশ্ন সমন্ধে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোবিজ্ঞান, দর্শনের বই এবং গুগলে খোজ করতে পারেন। মন কাকে বলে?  মন বলতে সাধারণভাবে বোঝায় যে, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। জড়বাদী দার্শনিকগণ মনে করেন যে, মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। বরং মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে। প্রাণ কাকে বলে? প্রাণ শব্দটা সহজ মনে হলেও এর উত্তর দেওয়া সহজ নয়। আচ্ছা আপনি নিজেই এর একটা সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করুন দেখবেন পারবেন না। প্রাণ এমন এক জিনিস যা ধরা যায় না ছোয়া যায় না কিন্তু বুঝা যায়। যতক্ষণ প্রাণ থাকবে ততক্ষণ একটি জিনিসকে জীবিত বলা যায়। তবে কোনো জিনিস থেকে প্রাণ চলে গেলেও জিনিসটির অনেক কোষ জীবিত থাকে...

মৃত্যু কি?

Image
যারা মৃত্যু নিয়ে ট্রল করেন তারা অনেকেই অনেক কিছু জানেনা। তাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট টা দেওয়া হয়নি। সকলের জানা প্রয়োজন তাই দিলাম। মৃত্যু কি?? মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের বা জীবের জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন , ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়। মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন। সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে...

সন্তান আপনার দায়িত্বও আপনার

Image
- মামা গাড়ি কি মাদামবিবি পর্যন্ত যাবে? - হ মামা যাবে, উডেন তাড়াতাড়ি। কোনো মতে লাফ দিয়ে উঠলাম গাড়িতে। লোকাল বাসের অবস্থা সবাইর জানা, মানুষে গাদাগাদি। আমি কোনো রকম বাসের দরজায় বাদুড় ঝুলা হয়ে ঝুলে রইলাম। কিছুদূর যাইতে না যাইতে পুলিশে সিগনাল দিলো থামানোর জন্য। ক্যারে ভাই তোরা আর কোনো গাড়ি পাইলি না চেক করার! এত গাড়ি আশেপাশ দিয়া গেলো তাদের না থামাইয়া আমাগো ভাংগাচুরা লক্কড় ঝক্কর গাড়ি কেন থামালি! থামানোর সাথে সাথে পুলিশ দাড়ানো অবস্থায় থাকা সবাইকে নামতে বললো। সুবোধ বালকের মত নেমে গেলাম। সবাইরে যেভাবে হাতান হাতাইলো তা বলার ইয়ত্তা রাখেনা। আরে ভাই চেক করবি ভাল কথা, তয় স্পর্শকাতর জায়গায় কেন হাত দেস! কারো কাছে কিছু না পাইয়া ছাইড়া দিলো। এবার আমি আগে বাসে উঠায় আমাকে যেতে হলো বাসের পিছন দিকে। যাওয়ার সময় একজনের পায়ে পারা লাগায় বেচারা গোখরা সাপের মত চেহারা করে বলে উঠলো 'কি ভাই চোখে কি দেখেন না কিছু!' আমি এক্সট্রেমলি ছরি বলে জায়গা মত এসে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই অভিশপ্ত জ্যামে আটকা পড়লাম। যেমন গরম তেমন বিভিন্ন গাড়ির হর্ণ আর ক্ষুধার্ত পেট। পরিবেশটা যেনো দুনিয়ার মাঝেই জাহান্নামের ...

জেনারেল ছাত্ররা নাকি কুরআন বুঝে না!

Image
ইউরোপে মধ্যযুগে কিছু লোক জান্নাতের টিকিট বিক্রি করতো। টাকা দিয়ে টিকিট কিনলে পাপ মুছে যাবে আর জান্নাত নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশে এমন দেখা যায় কি না?? ইউরোপে তখন পোপরা বলতো যে ধর্মগ্রন্থ জনসাধারণ বুঝবে না। ধর্মগ্রন্থ শুধু ধর্মযাজকরাই পড়বে এবং এর মর্ম তারাই বুঝবে। এছাড়াও পোপ বলতো যে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক স্থাপন কারী হলো পোপ। পোপরা ধর্মকে নিজেদের বাপ দাদার সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছিল। আচ্ছা বাংলাদেশের ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু লোক আছে কি না যারা বলে যে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হলে অমুক বাবা তমুক বাবাকে ধরতে হবে?? এরপর ধর্মের চরম অবনতির সময় একজন তাদের বিরুদ্ধে দাড়ালো। যে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করেছিল। তিনি হলেন মার্টিন লুথার। তিনি বললেন যে এই জান্নাতের টিকিট বিক্রি দুনিয়ার ফায়দা হাসিল হয় পরকালের না। তিনি আরো বললেন যে স্রষ্টার সাথে মানুষ সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। পাপ মোচনের জন্য মানুষ সরাসরি স্রষ্টার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারে। মার্টিন লুথার তৎকালীন পোপদের বিভিন্ন মতবাদের বিরোধিতা করে ৯৫ টি থিসিস লাগিয়ে দেয় গির্জার ওয়ালে। তার এই কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে পোপরা ফতুয়া জারি করলো...

বাল্যকালের প্রেম এবং বাস্তব জীবন

Image
কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু দেশে এসে সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। মেয়েটি যেমন ধনী তেমনি রূপেও অতুলনীয়। আমার এই বন্ধুটিকে একজন সফল মানুষ হিসেবে আমি আখ্যায়িত করতে চাই। তবে সেটা বাংলা মুভির মত না। লটারি ধরে বড়লোক হওয়ার মত না। পরিশ্রমের দ্বারা সফল হয়েছিল। যা ছিল এক কঠিন বাস্তবতা। যে বন্ধু এত সৌভাগ্যবান তার অতীতের কিছু অংশ ঘেটে দেখা যাক। বন্ধু যখন ক্লাস নাইনে পড়তো তখন ওর স্কুলের ওর ক্লাসের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। বন্ধু আমার মোটামুটি ভাল ছাত্র ছিল। কিন্তু প্রেমে পড়ার পর থেকে পরিবর্তন হওয়া শুরু হলো। পড়াশুনা তেমন করতো না, আমাদের সাথেও তেমন মিশতো না। সারাক্ষণ ফোনে কথা বলা আর এসএমএস নিয়েই ব্যস্ত ছিল। আমাদের টেস্ট পরিক্ষার কয়েকদিন আগে ওর পছন্দের মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো। বন্ধু এমনিতেই ছন্নছাড়া ছিল আর মেয়েটির বিয়ে হওয়াতে ওর সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো। টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় এসএসসি পরীক্ষা না দিতে পারায় পড়াশুনা ছেড়ে দিলো। এরপর কি মনে করে পাসপোর্ট বানিয়ে হঠাৎ করে বিদেশ চলে গেলো। আমাদের কারোর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। ফেইসবুক পর্যন্ত চালায়নি। শুধু বাড়িতে মাঝে মাঝে কল দিতো এইটুকুই। কয়েক বছর পর নিজের ট...

ধর্ষণ, ব্যাভিচার এবং অজাচার

Image
একজন শিক্ষিত লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম - ভাইয়া ধর্ষণ এবং ব্যভিচারের শাস্তি কি? তিনি যে উত্তর দিলেন তাতে আমি মর্মাহত। তিনি বললেন- ব্যভিচারের যে শাস্তি ধর্ষনেরও সে শাস্তি। উনাকে আরেকটি প্রশ্ন করলাম - ধর্ষণ আর ব্যভিচার কি এক? তিনি একদম ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলেন। মাথা চুলকাতে লাগলেন। তার মাথা চুলকানো বাড়াতে আরেকটি প্রশ্ন করে বসলাম, - ভাইয়া অযাচার কাকে বলে এবং শাস্তির বিধান কি? অযাচারের নাম শুনে তিনি আকাশ থেকে পড়লেন। তিনি যেহেতু আকাশ থেকে পড়তেছে তাই থামালাম না। ইচ্ছা মত পড়তে থাকুক। শেষের দিকে তিনি বললেন এই অধ্যায় তাদের এখনও পড়ানো হয়নি। তাই আমিও আর কথা বাড়াইলাম না। শুধু আফসুস করলাম নিজে নিজে। কারন, ধর্মীয় ব্যাপারে তিনি দীর্ঘ লেকচার আমাকে শুনিয়েছিলেন অনেক্ষণ আর অনেক না জানা বিষয় খুব বিতর্ক জুড়ে দিয়েছিল। কিছুদিন পর তিনি ধর্মীয় একটি সম্মানের খেতাব পাবেন। আশা করি তিনি ধর্মের পর্যাপ্ত খেদমত করতে পারবেন। যারা স্ট্যাটাস পড়ে উক্ত ব্যক্তি সমন্ধে নেতিবাচক ধারনা পোষণ করবেন তাদের বলে রাখি সুই এর ছিদ্র একটা থাকতে পারে কিন্তু আমি আর আপনি কিন্তু ঝাঝর। ঝাঝরের ছিদ্র কিন্তু অগণিত। তাই কিছু ক্ষু...

বিনয়ী

Image
ছোটবেলায় কোনো একটি বইয়ের পাতায় পড়েছিলাম- "সৈন্যসামন্ত দিয়ে রাজ্য জয় করা যায় কিন্তু প্রজার মন নয়" এখন প্রশ্ন হলো মন জয় করতে হলে কি করতে হবে! ভালবাসা ছাড়া মন জয় করার বিকল্প পন্থা আছে কি না তা জানা নেই। আপনার কাছের কিছু মানুষ আপনাকে ঘৃণা করে এটা আপনি জেনে গেলেন। তাহলে আপনি কি করবেন?? একটা জিনিস সব সময় মনে রাখবেন তাকে বুঝতে দিবেন না যে আপনি জানেন এবং তার সমন্ধে অপরের কাছে গীবতও করবেন না। কারন, তাতে সমাধান আসবে না। যা আসবে তা হলো শত্রুতা। প্রতিপক্ষকে পরাজিত বা অপমান করার ভিতর কোনো গৌরব নেই। গৌরব নিহিত আছে প্রতিপক্ষের মন জয় করার মধ্য দিয়ে। যত পারুন বিনয়ী হোন। কারন, মহামানবগণ বিনয়ী ছিলেন। একটা কথা আপনার আমার সর্বদা মনে রাখতে হবে- "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন" আর যত পারুন মানুষকে ক্ষমা করতে এবং ক্ষমা চাইতে শিখুন। কারন, যে অন্যকে ক্ষমা করেনা স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করেনা। প্রথম সেই কথাটি আবারও বলতে চাই- "সৈন্যসামন্ত দিয়ে রাজ্য জয় করা যায় কিন্তু প্রজার মন নয়"

এক নজরে দোহার উপজেলা

Image
দোহার ঢাকা জেলার অন্তর্গত সর্বদক্ষিণের উপজেলা। ১। ১৯২৬ সনে দোহার থানার উৎপত্তি হয়। ২। ১৯৮৩ সনে দোহার উপজেলা হিসাবে মান উন্নীত হয়। ৩। উত্তরে- নবাবগঞ্জ উপজেলা। ৪। দক্ষিণে-পদ্মা নদী। ৩। পূর্বে- শ্রীনগর উপজেলা (জেলা-মুন্সিগঞ্জ)। ৪। পশ্চিমে- হরিরামপুর উপজেলা (জেলা-মানিকগঞ্জ)। ৫। পৌরসভা- ১ টি (দোহার পৌর সভা প্রথম শ্রেণী। ৬। মৌজা- ৯৩ টি। ৭। গ্রাম- ১৩৯ টি ☞নয়াবাড়ীঃ               অরঙ্গাবাদ, কদমতলী, পানকুন্ড, হাতনী, চড় হাতনী, পশ্চিম ধোয়াইর, মধ্য ধোয়াইর, পূর্ব ধোয়াইর, বাহ্রা ও আন্তা । ☞কুসুম হাটিঃ                 শিলাকোঠা, আন্তা, সুন্দরি পাড়া, কার্তিকপুর, বাস্তা, চরকুশাই, বাবুডাঙ্গী, মাহতাব নগর, আরিতা, আওলিয়াবাদ, ইমান নগর, পুস্পখালী, করিমগঞ্জ (আংশিক)। ☞রাইপারাঃ               ইকরাশী,পালাম গঞ্জ,রাইপারা, হাতুরপারা,লক্ষিপ্রশাদ, ইসলাম পুর, জামাল চর, নাগের, কান্দা, লটাখুলা, সরক পার, বৌ বাজার, করিমগঞ্জ। ☞জয়পারাঃ                দক্...

ভবিষ্যৎ প্রবাসী প্রজন্ম

Image
১৫-১৮ বছরের একটা ছেলের মাথার উপর দশ লক্ষ টাকার সুদের বুঝা চাপিয়ে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে পরিবার ভাবছে এবার আমাদের কষ্টের দিন শেষ, পায়ের উপর পা তুলে দিন কাটানো আর বেশি দূরে নেই। পাশের বাড়ির মন্ডল বিল্ডিং করেছে এবার আমাদের বাড়িতেও হবে, মাঠে জমি কেনা শুরু হবে দেখি কে আমাদের থেকে বেশি জমি কিনতে পারে? পরিবার ভাবল, প্রতিবেশিকে টাকার খেলা দেখাবে। কিন্তু একবারও ভাবেনি এই পিচ্চি ছেলেটার কাধে এমন একটা বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিলে সে সহ্য করতে পারবে কিনা। ছেলেটি পারোক আর না পারোক পরিবারের কিছু মানুষতো সুখে থাকতে পারবে এইটাই বড়, ছেলেটি বাচল নাকি মরল তা দেখার বিষয় না। অথচ ভেবে দেখেনতো - যে ১৫-১৮ বছরের ছেলেটা খেলার মাঠে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় থাকার কথা সে কিনা ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন দেশের মানুষের সাথে শ্রম বিক্রীতে ব্যস্ত, মাস শেষে বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে একটু তৃপ্তি পাওয়ার পরিবর্তে পাচ্ছে তাচ্ছিল 'কেন এত কম টাকা!' পরিবারের এই চাপটা সহ্য করতে না পেরে এই কিশোর ছেলেটা একদিন বৈধ কোম্পানি থেকে পালিয়ে অবৈধ পথে টাকা উপার্জন করতে চেষ্টা করে, সেখানেই শুরু হয় তার অমানুষিক কষ্ট। দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ...

দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি

বড়দের দেওয়া বানী সব সময় অনুসরণ করি। বড়দের অনুকরণ করে বড় হতে চেষ্টা করি।  একদিন সিনিয়র  একজন বলেছিল - শোন, নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা যার তার সাথে শেয়ার করতে নেই। অনেকে তোমাকে হেয় হিসেবে গণ্য করবে। আর কিছু মানুষ তোমার পরিস্থিতি না বুঝে তাদের মত করে উপদেশ দিবে। তাই যতটা সম্ভব একমাত্র বিশ্বস্থ কাছের মানুষ ছাড়া অন্য কারো কাছে দুঃখ-কষ্ট এবং বিপদের কথা শেয়ার করবা না। সত্যি তার কথা গুলি হুবহু মিলে গেছে। বেশিরভাগ মানুষ অন্য মানুষের দুঃখ কষ্ট কে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। মুখস্থ করা উপদেশ বানী শুনিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কেউ অনুভব করেনা। যারা করে তারা খুবই নগন্য। তারা অনুভব করলেও সামর্থ্য না থাকার কারনে সমস্যার সমাধান করতে পারেনা। তবুও তাদের অনুভব করাটাই আসল। অনুভবের ফলে তারা যে পথ দেখিয়ে দেয় সেটা কম কিসের! উপদেশ সবাই দিতে পারে। কিন্তু সমস্যার সমধানে সবাই সহায়ক হতে পারেনা। যারা সহায়ক হয় তারাই কীর্তিমান। তারা আছে বলেই অনেক মানুষ  আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরে আসে। আল্লাহ বলেছেন- "মনে রেখো, প্রতিটি কষ্টের পরেই রয়েছে স্বস্তি। নি:সন্দেহে প্রতিটি কষ্টের পরেই আছে স্বস্তি!" [সুর...

সমাজের ঋণ

শিক্ষিত শ্রেনীর মুখে প্রায় একটি কথা শুনা যায়- সমাজ আমার জন্য কিছু করেনি, সমাজ থেকে আমি কিছু পাইনি, সমাজ আমাকে কিছু দেয়নি ইত্যাদি কথা বার্তা। আমার প্রশ্ন হলো- সমাজকে আপনি কি দিয়েছেন?? সমাজ আপনার জন্য যা করেছে তার ঋণ আপনি  কখনই শোধ করতে পারবেন না। সমাজ আপনাকে আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে কিন্তু আমি আপনি সমাজ কে কিছু দিতে পারি না বলেই বিভিন্ন অজুহাতে সমাজকে ছোট করি। সমাজ আপনাকে আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে যার কারনে বনের পশু এসে ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের মনের পশু দ্বারা ঠিকই সমাজের ক্ষতি করে যাচ্ছি। সমাজ আমাকে আপনাকে সম্মান দিয়েছে যার ফলে অন্য সমাজের কেউ বিনা কারনে আপনাকে আমাকে অপমান করে যেতে পারেনা। কেউ করতে আসলে সমাজ তার বিরোদ্ধে রুখে দাড়ায়। কিন্তু এখন আমরা ঠিকই কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করে সমাজের অসম্মান করতেছি। আজ আপনি আমি শিক্ষিত। বলেন তো এর পিছনে প্রধান অবদান কার?? উত্তর দিতে ভ্যাবাচেকা খাচ্ছেন তাই না!! প্রধান অবদান এই সমাজের। প্রাইমারী, হাইস্কুল, কলেজ, ভার্সিটি এসবে আপনি আমি যে কয় টাকা বেতন দিতাম তাতে কি শিক্ষকদের সংসার চালানো সম্ভব?? কখনই না। সরকার প্র...

নেগেটিভ পজিটিভ চিন্তাধারা

Image
বিখ্যাত যেকোনো ব্যক্তির বিরোদ্ধে সমালোচনামূলক বই লেখা হয়। বিখ্যাত হয় দুই ধরনের ব্যক্তি- ১. পজিটিভ চিন্তাধারা ২. নেগেটিভ চিন্তাধারা আগে পরামর্শ দিব যে বিখ্যাত লেখক সমালোচিত হয়েছেন তার বই পড়ুন তারপর সমালোচনামূলক।বই এরপর আবারও সেই বিখ্যাত লেখকের বই। আর আগে যদি সমালোচনা পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সমালোচিত বইটির লেখা মিলিয়ে নিবেন, আগাগুড়া দুইবার পড়ে নিবেন এবং জাস্টিফাই করে দেখবেন যে সমালোচনা ঠিক না কি বেঠিক। তাহলে দেখবেন পজিটিভ চিন্তা ধারার লেখকদের অধিকাংশ সমালোচনা করা হয়েছে ভুল ভাবে এবং ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে। সবাইর মনে রাখা উচিৎ সমালোচনা দুই ধরনের ১. গঠনমূলক সমালোচনা ২. ধ্বংসাত্মক সমালোচনা গঠনমূলক সমালোচনা হয় যুক্তিনির্ভর এবং সংশোধনমূলক। আর ধ্বংসাত্মক সমালোচনা হয় অযুক্তিক এবং ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে যাতে পাঠকরা পজিটিভ লেখা থেকে দূরে সরে যায়। আর এর ফলে অনেক পজিটিভ চিন্তাধারার লেখকদেরকে ভুল ভাবতে শুরু করে এবং তাদের নিয়ে ভুল প্রচার করতেও শুরু করে দেয়। আমাদের মনে রাখা উচিৎ ইতিহাস কি বলে?? ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যারাই সমাজ,সাহিত্যে সংস্কার আনতে চেয়েছে তখনই তৎকালিন কিছু মানুষ তাদের নিয়ে ধ্বং...

সংসার এবং সংগঠন

চোখের সামনে অনেক সাজানো গুছানো এবং সুখে ভরা সংসার দেখবেন। তখন নিজের খুব হিংসে হবে যে, ইশ! আমাদের ফ্যামিলিটাও যদি এমন হতো! চোখের সামনেই দেখবেন এই রকম সংসার ভেংগে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। কিছুরই অভাব ছিল না। তবুও ভেংগে গেলো, ভেংগে গেলো বললে ভুল হবে, বলতে হবে ভেংগে চুড়ে গুঁড়ো গুড়ো হয়ে গেলো। এই সংসারে শুধু সুখই ছিল না, ছিল একতা এবং ভালবাসায় ভরপুর। যেমন ছোট ভাইকে কেউ বকা দিলে বা থাপ্পড় দিলে বড় ভাই গিয়ে সেই ছেলের ১২ টা বাজিয়ে দিয়ে আসতো। কারন, ভাইকে সে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসতো। কিন্তু সংসার ভাংগার পর এই একই ভাই অপর জনের গীবত করা সহ বকাঝকা তো ফ্রী, আর উত্তেজনা চরম পর্যায় গেলে এক ভাইয়ের হাতে আরেক ভাই খুন। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আজকাল পেপার খুললে বা নিজের বাড়ির আশেপাশে তাকালেই এমন দেখতে পাবেন। আসলে সংসার ভাংগা শুরু হয় কয়েকটি কারণে। তবে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো নিজের অহংকার এবং স্বার্থপরতা। দেখবেন সংসার ভাংগার আগে ভাইদের মাঝে ঝগড়া হয় আর সেখানে একটি কথা শুনা যায় সংসারের জন্য আমি কি কম করেছি নাকি! সংসারের জন্য আমি কম ইনকাম করি নাকি! ব্যাস এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য ভাইয়ের মাঝে কষ্টের সঞ্চার হয়। ফল...

নীলের ডেটিং

নীল আর আমি একই ক্যাম্পাসে থাকলেও দুই বন্ধুর কথা হয় খুবই কম। আর দেখা তো আমাবস্যার চাদের মত অবস্থা। যাইহোক আজ দুপুরে ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ করে ঘুম ভাংলো ফোন বেজে উঠায়। চোখ খুলে দেখি নীল কল দিয়েছে। আমি অবাক! কারন, নীল সাধারণত কল দেয় না। শুধু মিসড কল দেয়। যাই হোক ফোন রিসিভ করলাম। - কিরে আজ সূর্য কোন দিকে উঠছে ডাইরেক্ট কল দিলি?? - সূর্য যেদিকে উঠার সেদিকেই উঠেছে। এত অবাক হওয়ার কি আছে? আমি কি ডাইরেক্ট কল দিতে পারিনা!! - হ তা পারিস। তো তোর মতলব কি?? - দোস্ত না করিস না প্লিজ, কাল তোর ঘড়ি টা আর সানগ্লাস টা একটু দিস। - কেন কোনো বিয়ের দাওয়াত আছে নি? দুপুরে এসে নিয়ে যাইস। - দোস্ত সকালে লাগবো। জিএফ এর সাথে কাল ডেটিং আছে। - কস কি! তুই যাবি ডেট করতে!! তুই না এই কয়দিন ধরে ভ্যালেন্টাইন বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে আসলি!! আর তুই নাকি সেই ভ্যালেন্টাইন করতে যাবি কাল?? - দোস্ত, ফেইসবুকে পার্সোনালিটির ব্যাপার স্যাপার আছে না। তাই ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার জন্য দেই এই আর কি। - তোর মুখোশ বুঝা বড় দায়। তরে নি বেডা গর্ব করি আর তুই এসব করে বেড়াস?? - দোস্ত তুই অনেক নীতি কথা বলবি জানি। এখন বল সানগ্লাস আর ঘড়ি ...

একজন স্বার্থপর নীল

হঠাৎ একদিন নীল আবিষ্কার করলো যে সে অনেক স্বার্থপর। কিন্তু কেনো সে নিজেকে এত স্বার্থপর ভাবলো! আগে নীলের কাছে কেউ কিছু চাইলে সাথে সাথে তা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করিতো। কিন্তু ইদানীং কেউ সামান্য কিছু চাইলে দেওয়ার আগে অন্তত কয়েকবার ভাবে যে এটাতে তার কোন লোকসান হবে না তো! সে স্বার্থপর হওয়ার কারন খুজতে লাগলো। প্রথমে ভাবলো যে হয়তো বংশগত ভাবে সে স্বার্থপরতা পেয়েছে। কিন্তু বংশের কয়েকজনের জীবনচরিত ঘেটে দেখলেন যে তাদের ভিতর কতিপয় লোক কিঞ্চিৎ স্বার্থপর ছিলেন। পরে ভাবলো যে হয়তো বন্ধুদের প্রভাব পড়েছে। আবারও অনুসন্ধান কাজে লেগে গেল। আগের মত একই ফলাফল। দুই একজন ছাড়া সবাই নিঃস্বার্থ। তাহলে সে কেন কিভাবে এত স্বার্থপর হলো সেই প্রশ্ন বার বার তার মন তার বিবেককে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত। হঠাৎ করে তার জীবনে মহা প্রলয়ের মত বিরাট সমস্যা উপস্থিত হলো। সে খুজে পাচ্ছিলো না কোন কুল কিনারা। তার জীবনের সাগর হতে সলিল সমাধি থেকে ফিরিয়ে আনতে কতিপয় কিছু পরিচিত মুখ ব্যতিত সবাই যার যার নীরের কপাট চাপিয়ে নিঃশব্দে সুখের উৎসবে মত্ত এবং কিছু সংখ্যক মুখ চাপিয়ে খিল খিল করে হেসে আনন্দ প...

পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি এবং পরীক্ষার সময় করণীয়

Image
একজন শ্রমিকের কাজ কি? সে সারাদিন মাটি কাটবে অথবা রিক্সা চালিয়ে দিন শেষে কিছু টাকা পাবে। তাতেই সেই দিন এনে দিনে খেয়ে কোন মত সংসার পার করে দিবে। আচ্ছা আপনি কি কখনো দিনমজুরের মত কাজ করেছেন!! করলে বুঝবেন কষ্ট কাকে বলে। আপনি আমি অনেক হাজার গুন শান্তিতে আছি। বাবা মা কষ্ট করে টাকা পাঠায়। আমরা আনন্দ উল্লাসে খরচ  করি। আর পড়ার টেবিলে বসলেই ভাবি কি পড়ালেখা অনেক কষ্ট। আপনি মাসে ছয় হাজার টাকা খরচ করলে প্রতিদিন দুইশো টাকা খরচ করতেছেন। আপনি আমি কতটুকু কষ্ট করেছি? আর এক্সাম আসলে তো কথাই নেই। আরে ভাই ঐ খেটে খাওয়া মানুষের মত আমরা দশ ভাগের এক কষ্ট পর্যন্ত করিনা। এখনো আপনার আমার সময় আছে পিছনের নষ্ট করা সময় গুলি ভুলে ঐ কষ্টে ক্লিষ্ট মানুষ গুলির কথা স্মরন করে নতুন ভাবে শুরু করি পড়াশোনা। সময় এখনো  শেষ হয়ে যাইনি। যে সমস্যার কারনে আমাদের মাথার ভিতর হযবরল চিন্তায় সব কিছু এলো মেলো হয়ে যায় তার ভিতর উল্লেখ্যযোগ্য কারনটি হলো- 'কি পড়তে হবে তা নির্দিষ্ট করা নিয়ে।' সারা বছর যা পড়েছি তা হলো জ্ঞানার্জন। পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার সময় এত পড়ার দরকার নেই। সহজ উপায় হলো ৫ টা প্রশ্ন কমন  করার জন...

লাইফ ইজ কালারফুল

Image
সিএনজি থেকে নেমে ড্রাইভারকে ৫ টাকার একটা ছিঁড়া নোট দিয়ে দিলাম। 'দেখেন মামা চলবে কি না!' 'চলবে, আমি না নিলে আরেকজন ঠিকই নিবে' একটা হাসি দিয়া সিএনজি ড্রাইভার গাড়ি টান মেরে ভু করে চলে গেলো। এমন ড্রাইভার চট্টগ্রামে খুব কমই পাওয়া যায়। বলে রাখা ভাল চট্টগ্রামে লোকাল সিএনজি আছে। এইসব সিএনজি তে স্থান অনুযায়ী ভাড়া। যেমন, ৫ টাকা, ৬ টাকা, ৮ টাকা, ১০ টাকা, ১২ টাকা ইত্যাদি। এমন ড্রাইভারের মত একজন দোকানদার আছে। উনার কাছে কিছু কিনতে গেলে টাকা বের করার পর যদি দেখি অল্প একটু ছিঁড়া তখন টাকা টা তাকে দিয়ে বলি- 'মামা দেখেন তো টাকা টা চলবে কি না, আর না চললে আমাকে পরের বার ফেরত দিয়েন' দোকানদার হাসি দিয়া টাকা টা বক্সে রেখে দেয়। চট্টগ্রামে একটি বড় সমস্যা হলো কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায় না এবং একটু ছিঁড়া হলেই টাকা নিতে চায় না। ছিঁড়া টাকা চালানোর কৌশল বললাম, ভাংতি টাকার কৌশল অন্যদিন বলবো। এখন আসল কথায় আসা যাক। সিএনজি থেকে বিদায় নিয়ে স্টুডেন্টের বাসায় গেলাম। আজ প্রায় ২০ মিনিট আগেই চলে আসছি।  তারপরেও দেখি স্টুডেন্ট বই নিয়ে আমার অপেক্ষায় বসা। ভাবছিলাম স্টুডেন্ট হয়তো ঘুমাইতেছে নয়তো ম...

নীল এবং ঘোর অন্ধকার

নীল এবং ঘোর অন্ধকার বিকেলে প্রচুর বৃষ্টি হওয়াতে আকাশে চাদ থাকা সত্ত্বেও তেমন আলো ছিল না। মেঘ চাঁদের সামনে দিয়ে খেলা করতে করতে যাচ্ছে। সেদিন টিউশন থেকে ফিরতে নীলের দেরি হয়ে গেল। মোবাইলে চার্জ নেই হাতে ঘড়িও নেই। তবে অনেক রাত হয়ে গেছে সেটা নীল বুঝতে পারলো। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেছে। কিন্তু আধ ঘন্টার বেশি হয়ে গেল কোন গাড়ি আসার খবর নেই। হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে অদ্ভুত ধরনের একটা লোক পাশে দাঁড়ানো। তাকানো মাত্রই লোকটি বলে উঠলো- "এত রাতে এখানে দাড়িয়ে আছেন কেনো?" নীল ঐ লোকের অদ্ভুত কন্ঠ শুনে হালকা চমকে উঠলো এবং প্রতি উত্তরে বললো- "ভার্সিটি যাব কিন্তু গাড়ি পাচ্ছিনা" লোকটি বললো- "আজকে রাতে আর গাড়ি পাবেন না। আর এলাকা তেমন ভাল না। তারাতারি কেটে পড়ুন" নীল খুব ভয় পেয়ে গেল এবং বললো- "তাহলে আমি এত দুর কিভাবে যাব!" লোকটি তার হাতের আংগুল দিয়ে ইশারা করে বললেন- "এই দিক দিয়ে সামনে এগুলে চিতাখোলা আছে। তার ডান রাস্তা দিয়ে চলে যান।" নীল তার দেখানো পথে হাটা দিলো। অনেক্ষণ হাটার পর চিতাখোলা পেলো। চিতাখোলা থেকে উদ্ভট গন্ধ নাকে ভেসে আ...