একজন স্বার্থপর নীল

হঠাৎ একদিন নীল আবিষ্কার করলো যে সে অনেক স্বার্থপর। কিন্তু কেনো সে নিজেকে এত স্বার্থপর ভাবলো!

আগে নীলের কাছে কেউ কিছু চাইলে সাথে সাথে তা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করিতো। কিন্তু ইদানীং কেউ সামান্য কিছু চাইলে দেওয়ার আগে অন্তত কয়েকবার ভাবে যে এটাতে তার কোন লোকসান হবে না তো!

সে স্বার্থপর হওয়ার কারন খুজতে লাগলো। প্রথমে ভাবলো যে হয়তো বংশগত ভাবে সে স্বার্থপরতা পেয়েছে। কিন্তু বংশের কয়েকজনের জীবনচরিত ঘেটে দেখলেন যে তাদের ভিতর কতিপয় লোক কিঞ্চিৎ স্বার্থপর ছিলেন।

পরে ভাবলো যে হয়তো বন্ধুদের প্রভাব পড়েছে। আবারও অনুসন্ধান কাজে লেগে গেল। আগের মত একই ফলাফল। দুই একজন ছাড়া সবাই নিঃস্বার্থ।

তাহলে সে কেন কিভাবে এত স্বার্থপর হলো সেই প্রশ্ন বার বার তার মন তার বিবেককে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত।

হঠাৎ করে তার জীবনে মহা প্রলয়ের মত বিরাট সমস্যা উপস্থিত হলো।
সে খুজে পাচ্ছিলো না কোন কুল কিনারা। তার জীবনের সাগর হতে সলিল সমাধি থেকে ফিরিয়ে আনতে কতিপয় কিছু পরিচিত মুখ ব্যতিত সবাই যার যার নীরের কপাট চাপিয়ে নিঃশব্দে সুখের উৎসবে মত্ত এবং কিছু সংখ্যক মুখ চাপিয়ে খিল খিল করে হেসে আনন্দ পাওয়ায় ব্যস্ত।

নীল দেখিলো পতিত সাগর থেকে উদ্ধার করিতে যাহারা এসেছিল তাহারা পরিচিত লোক গুলির ভিতর কতিপয় কিছু পরিচিত লোক।

আর যারা কপাট লাগিয়ে সুখের উৎসবে ব্যস্ত ছিল তাহারা বেশির ভাগই ছিল তার রক্তের সাথসম্পর্কযুক্ত। আর যারা কপাট বন্ধ করিয়া হাসিতেছিল তাহারা বেশির ভাগই ছিল নীলের খুবই বিশ্বস্ত মানুষ।

নীল তার সেই স্বার্থপরতার প্রশ্নের উত্তর খুব ভালভাবে খুঁজিয়া পাইলো।

সে বুঝিতে সক্ষম হইলো যে পচা চামড়ার ফ্যাক্টরি তে কাজ করিলে যেমন পোষাকে চামড়ার গন্ধ লাগিয়া যায়। তেমনিভাবে এই ভরপুর স্বার্থপর সমাজে বসবাসের ফলে সে নিজেও একজন উত্তম স্বার্থপর হইয়াছে।

Comments

Popular posts from this blog

সমকাম বা হোমোসেক্সুয়াল

বিভিন্ন ধর্মে নারীর পর্দা- তৌহিদ রাসেল

এক নজরে দোহার উপজেলা