আত্মহত্যা এবং মৃত্যু - তৌহিদ রাসেল

 আত্মহত্যা এবং মৃত্যু

- তৌহিদ রাসেল


শৈশবকাল অথবা ল্যাংটাকালের বন্ধু বলে একটা কথা আমরা প্রায় বলি। মানুষ শৈশবকালের বন্ধুদের কখনো ভুলে যায় না। ভুলে যায় না বললে ভুল হবে, মূলত মস্তিষ্ক ভুলতে দেয় না।


আমার শৈশবকালের যেসব বন্ধু ছিল তাদের ভিতর সুমন এবং জাহাঙ্গীর অন্যতম। ওদের কথা কেন আলোচনা করতেছি তার বিশেষ কারণ রয়েছে।


প্রাইমারি স্কুলে থাকতে সুমন আমার এক ক্লাস উপরে পড়তো আর জাহাঙ্গীর এক ক্লাস নিচে। যদিও জাহাঙ্গীর ক্লাস থ্রি পর্যন্ত একই সাথে ছিল। একবছর গ্যাপ দেওয়ায় নিচের ক্লাসে চলে যায়।


স্কুলে এই দুইজনের সাথেই বেশিরভাগ সময় যাওয়া আসা হত। শুধু স্কুল না, এলাকাতেও এই দুইজনের সাথেই বেশি মিশেছি। সুমন বাজার থেকে আমার জন্য পেপার আনতো সাথে ম্যাগাজিন। আর আমি বইয়ের দোকান থেকে গল্পের বই কিনতাম। দুজনে মিলেমিশে এইসব জিনিস পড়তাম। সেই প্রাইমারি থেকে, অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি। 


সুমন আমাদের বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করতো, আমিও ওদের বাড়িকে নিজের বাড়ির মতই মনে করতাম।


জাহাঙ্গীরের সাথে খেলাধুলা, টিভি দেখা, ঘাস কাটতে যাওয়াসহ কতকিছু করেছি। জাহাঙ্গীর উপন্যাস আর মজার মজার গল্পের বই পড়তে পছন্দ করতো। আমার কাছে থেকে কয়েকদিন পরপর বই নিত। জাহাঙ্গীর আর সুমনদের ফ্যামিলির সাথে আমাদের ফ্যামিলির এমন সম্পর্ক ছিল যে যা আত্মীয়তার সম্পর্কের চেয়েও বেশি। 


ওদের দুজনের সাথে আমার এত এত স্মৃতি আছে যে তা লিখলে বিশাল এক পাণ্ডুলিপি হয়ে যাবে। 


২০১৪ সালে সকাল বেলা ভোরে কেউ একজন এসে আমাদের বাড়িতে জানালো যে সুমন আর নেই। সুমন মারা গেছে।


পরে জানতে পারি ওর শ্বশুরবাড়িতে রাতের বেলা মারা যায়। মূলত মারা যায় নাকি মেরে ফেলা হয় সেই রহস্য রয়ে যায়। কারণ লাশের শরীরে কিছু চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। 


সুমনের মৃত্যুর পর ওদের বাড়িতে ইচ্ছে করেই কম যেতাম। কারণ গেলে কয়েকদিন কিছুই ভাল লাগতো না, মাঝে মাঝে কান্না চলে আসতো। এই যে লিখছি ওর কথা চোখের কোণে জল চলে এসেছে।


জাহাঙ্গীরের সাথে প্রায় দেখা হত কথা হত। আমাদের বাড়িতে আসতো। লাস্ট স্মৃতি হিসেবে যেটুকু আছে তা হলো ওর সাথে মজা করে সময় কাটাই আমার ভাইয়ের বিয়েতে। 


এরপর ভার্সিটিতে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে কম আসা হত এবং ওর সাথে দেখাও কম হত। 


২০১৭ সালের এক সকালে ফেইসবুকে ঢুকেই দেখি পরিচিত মানুষদের স্ট্যাটাস। 'কেন তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেলি এভাবে'। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু বাস্তবতায় ফিরে আসার পর মেনে নিত হলো। জাহাঙ্গীর রাতের বেলায় কীটনাশক জাতীয় জিনিস খেয়ে আত্মহত্যা করে।


আমার লাইফের কাছের দুজন বন্ধু এভাবে চলে যাবে তা আমার জন্য ছিল সত্যিই কষ্টদায়ক। মাঝে মাঝে ওদের কথা মনে পড়লে সব কেমন যেন এলোমেলো লাগে। 


জাহাঙ্গীর ছাড়াও পরিচিত অনেকেই আত্মহত্যা করে। আমাদের ভার্সিটির আমার ব্যাচেরই এক ছেলে যার সাথে প্রায় হলের ডায়নিং রুমে দেখা হত গল্প হত। হুট করে শুনি কটেজে আত্মহত্যা করেছে। এরপর স্বেচ্ছাসেবী রাকিব ভাইয়ের সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। একদিন শুনি সেও আত্মহত্যা করেছে। এইরকম অনেকের আত্মহত্যার সংবাদ শুনি। কষ্ট পেতে পেতে হৃদয়টা এখন সম্ভবত পাথর হয়ে গিয়েছে।


যে ডেল কার্নেগীর বই পড়লে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা পাওয়া যায়, সফলতার পিছনে ছুটতে ইচ্ছে করে। অবশেষে জানতে পারলাম সেই ডেল কার্নেগী আত্মহত্যা করেছিলেন। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখা যায় খ্যাতনামা তারকাদের আত্মহত্যার সংবাদ। অনেক সময় মার্ডারকেও আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তদন্তের ফলে আসল ঘটনা বের হয়ে আসে।


এই আত্মহত্যা কেন করে মানুষ কোন পর্যায় গেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে তা জানতে ইচ্ছে করে। 


আমার কাছে আত্মহত্যার চারটি কারণ স্পষ্ট হয়েছে।


১। অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করে মূলত ডিপ্রেশনের কারণে। যেসব মানুষ একটি সময় ডিপ্রেশনের চাপ আর নিতে পারেনা সেসব মানুষ আত্মহত্যাকেই সহজ পথ বলে বেছে নেয়। এই ডিপ্রেশনের পিছনে ফ্যামিলি অথবা নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা বেশি কাজ করে। 


২। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেলে মানুষ আত্মহত্যা করে। আসলে ডিপ্রেশনের কারণেই অধিকাংশ মানুষ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।


৩। আত্ম মর্যাদা রক্ষার্থে আত্মহত্যার নজির ইতিহাসে বেশি দেখা যায়। হেরে গেলে মর্যাদাহানি হবে এই কথা ভেবেই অনেকেই আত্মহত্যা করে। 


৪। অনেকেই বাস্তবতার কারণে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করে। অধিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আত্মহত্যা করে। নারীরা ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেতেও আত্মহত্যা করে। আবার অনেকেই এই কারণে আত্মহত্যা করে যে সে বেঁচে তাকলে প্রতিপক্ষ তার থেকে গোপন কোনো তথ্য বের করে ফেলতে পারে যা কোনো সংগঠন বা কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।


ইয়াংদের ভিতর আত্মহত্যাকারীদের অধিকাংশই আবেগে ডিপ্রেশনে ভোগে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন সে মনে করে যে এই পৃথিবীতে না থাকলেই সম্ভবত তার জন্য ভাল। 


বর্তমানে ইয়াং জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের যেসব ডিপ্রেশনের স্ট্যাটাস দেখি তাতে প্রচুর ভয় হয় তাদের নিয়ে। আমার ফ্রেন্ডলিস্টের বেশকিছু মানুষের এমন ডিপ্রেশনময় স্ট্যাটাস সত্যি চিন্তায় ফেলে দেয়। 


মৃত্যু খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমার এক ফ্রেন্ড যে ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর মা বুঝে যায় যে ও কিছু একটা খেয়েছে এবং তাৎক্ষণিক ওকে হসপিটালে নিয়ে গেলে ওয়াশ করিয়ে সুস্থ করে তোলে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেমন লেগেছিল! ও বললো এতটা কষ্ট যে এটা বলে মানুষকে বুঝানো যাবে না।।


আমার দুঃসম্পর্কের মামাতো ভাই তার বোনদের সাথে রাগ করে গলায় ফাঁশ লাগিয়েছিল। ওর বোনেরা টের পেয়ে যায় যে সামথিং রং। ঘরের দরজা ভেংগে ওকে নামানো হয় এবং হসপিটালে নিয়ে গেলে মৃত্যুযাত্রা থেকে ফিরে আসে। ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ওর অনুভূতি কেমন ছিল। ও বলেছিল 'রাসেল ভাই ঐসব মনে করতে চাই না'।


আত্মহত্যা গর্হিত একটা কাজ এবং একটি মহাপাপ। সবধর্মেই আত্মহত্যাকে মহাপাপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।


বৌদ্ধ ধর্মের গৌতম বুদ্ধের মতবাদ হচ্ছে- 'অহিংসা পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ'। নিজেকে হত্যা করা মানে একটি জীবকে হত্যা করা। সুতরাং বৌদ্ধ ধর্মমতে আত্মহত্যা মহাপাপ।


খ্রিস্টান ধর্মে বলে যে- যিনি আত্মহত্যা করলো তিনি নিজের যাত্রা নরকের দিকে তরান্বিত করা ছাড়া আর কিছুই করলো না। বাইবেল অনুযায়ী আত্মহত্যা হচ্ছে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে করা ভয়ানক পাপ।


হিন্দু ধর্মের ঈশ উপনিষদে বলা হয়েছে- 'অন্ধকারে আবৃত একটি স্থান আছে যার নাম অনন্দলোক। যারা আত্মহত্যা করে মৃত্যুর পরা তারা সে স্থানে চলে যায়।'


ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে- 'আর তোমরা নিজেদের হত্যা করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে জুলুম করে অন্যায়ভাবে আত্মহত্যা করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো।' [সূরা আন নিসা, আয়াত: ২৯-৩০]


এই যে প্রতিটা ধর্মে আত্মহত্যা মহাপাপের কথা বলা হয়েছে এটা কি সে জানেনা যে আত্মহত্যা করে! অবশ্যই জানে। কিন্তু সে মানসিকভাবে এমন বাস্তবতার সম্মুখীন হয় নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা। মনে করে এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া।


আত্মহত্যা থেকে ফেরানোর জন্য অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন যে, হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির সাথে সময় দিন, তার সাথে কথা বলুন, তাকে বুঝার চেষ্টা করুন। কিন্তু কথা হলো আত্মহত্যাকারীর অধিকাংশই কাউকে বুঝতেই দেয়না যে সে কোনো সমস্যা আছে। এমনও হয়েছে আত্মহত্যাকারী আত্মহত্যার আগেও বন্ধুদের সাথে অথবা ফ্যামিলির সাথে হাসিখুশিভাবে আড্ডা দিয়েছে। 


আমি মনে করি এর সমাধান খুবই জটিল। তবে আমার আমি নিজেকেই বোঝ দিতে পারি যে, 'আত্মহত্যা একমাত্র সমাধানের পথ নয়'। যে নিজেকে এটা বোঝ দিতে পারবে অন্তত সে কিছুটা হলেও উল্টাপাল্টা এইসব আত্মহত্যার ডিসিশন থেকে ফিরে আসবে। আসুন নিজেকে বোঝাই।


আরেকটা ব্যাপার হলো অন্যের সাথে ব্যবহার। যে আত্মহত্যা করে সে কারো না কারো ব্যবহারে এতই মর্মাহত হয় যে তা মেনে নিতে পারেনা, ফলে আত্মহত্যা করে। আমাদের কথাবার্তা এবং ব্যবহার হোক সুন্দর। আমাদের ব্যবহার এবং কথাবার্তা অন্যের মনে যেন কষ্ট না দেয়। নিজে ভালো থাকি অন্যকে ভালো রাখি।


এই পৃথিবী হলো আমাদের জন্য পরীক্ষার স্থান। তাই এখানে সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশা, ভালো-মন্দ থাকবেই। তাই আমাদের উচিৎ এসব বিষয়কে মেনে নেওয়ার মন-মানসিকতা গড়ে তোলা। আমাদের ধৈর্যধারণ করতে হবে। 'আল্লাহর পরিপূর্ণ সাহায্য এবং স্বয়ং আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের সাথে রয়েছেন।’ [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৫৩]


পরীক্ষার সময় কষ্ট করে লিখলে যেমন পরবর্তীতে ফলাফল ভালো হয় ঠিক তেমনি এই পৃথিবীর দুঃখ কষ্ট সহ্য করলে পরকালে রয়েছে মহা সাফল্য।


আল্লাহ তা'আলা বলেন- 'নিশ্চয়ই দুঃখের পরেই আছে সুখ, নিশ্চয়ই কষ্টের পরে আছে স্বস্তি।' [সূরা ইনশিরাহ, আয়াত: ৫-৬]



মৃত্যু কি??

মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তি বুঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের বা জীবের জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন , ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।

মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।

সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis.
মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কঙ্কালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis, রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়।

মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া। দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়।

সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

সূরা আল ইমরানের ১৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
"প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু।
আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।"

Comments

  1. অসাধারণ লিখেছেন

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

সমকাম বা হোমোসেক্সুয়াল

বিভিন্ন ধর্মে নারীর পর্দা- তৌহিদ রাসেল

এক নজরে দোহার উপজেলা