পরকীয়া - তৌহিদ রাসেল
পরকীয়া
- তৌহিদ রাসেল
রিলেশন অর্থাৎ সম্পর্ক হলো একটি আপেক্ষিক বিষয়। তারপরেও চুম্বক এবং রিলেশন দুইটা জিনিসের মধ্যে অদ্ভুত রকমের মিল আছে। দুরত্ব বাড়লে চৌম্বকীয় পদার্থের প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাই।
.
একটি চৌম্বকীয় পদার্থ থেকে দুরত্ব বজায় রেখে আরেকটি চৌম্বকীয় পদার্থের কাছে নিলে যেমন চুম্বক কাছের পদার্থটিকে টানতে থাকে ঠিক তেমনি ভাবে যার সাথে সম্পর্ক সে দূরে সরে গেলে অন্য একজনের সংস্পর্শে আসলে তার প্রতি টান বাড়তে থাকে। আর আগের ব্যক্তির প্রতি টান কমতে থাকে।
.
থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার মুভিতে সেই মেসেজটাই দিয়েছে। স্বামী জেলে যায় স্ত্রী স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। এই দিকে মেয়েটির সাথে সেই শৈশবকালের বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। বন্ধু হেল্প করতে থাকে আর মেয়েটা বন্ধুর সংস্পর্শে বেশি যেতে থাকে। একসময় বন্ধুর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়।
.
স্বামীকে জেল থেকে ছাড়ানোর পর যেখানে মেয়েটির আনন্দে উল্লাস করার কথা ছিল সেখানে সে তার বন্ধুর প্রতি বেশি টান অনুভব করে। ফলে স্বামীর কাছে দেহ থাকলেও মন পড়ে থাকে বন্ধুর নিকট। বলে রাখা ভাল মুভিটিতে লিভ টুগেদার বিষয়টিকে প্রমোট করা হয়েছে।
.
অনেকে বলবে এসব জিনিস মুভিতেই হয় বাস্তবে না। তাদেরকে বলব- 'ভাই আপনি ঘুমে থাকেন তো, তাই আপনার হিসাব থাকেনা'। আচ্ছা তাহলে বাংলাদেশের পরকীয়া রিপোর্টটা দেখতে পারেন। সেখানে দেখা যায় যে যারা সারাদিন ব্যবসা বা অফিস নিয়ে ব্যস্ত এবং যারা প্রবাসী তাদের স্ত্রীরা বেশি পরকীয়ায় লিপ্ত। বাংলাদেশে যতগুলি পরকীয়া ধরা পড়েছে তার বেশিরভাগ হলো স্বামী বিদেশ। এর মূল কারণ হলো দুরত্ব বেশি হওয়া এবং গুরুত্ব কম দেওয়া।
.
পরকীয়ায় জড়িত অধিকাংশ পুরুষ হলো অবিবাহিত। পরকীয়া হবেই বা না কেন! আমাদের বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই পরকীয়া জিনিসটা লোভনীয় বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। একটি ছেলে এবং মেয়ের চরিত্র গঠনের সবচেয়ে উত্তম সময় হলো বয়ঃসন্ধিকাল বয়স। হাই স্কুলে আমাদের পাঠ্যসূচি হিসেবে যা পড়ানো হয় তা হলো 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাস। যদিও উপন্যাসে অনেক শিক্ষণীয় দিক রয়েছে তবুও অধিকাংশ স্টুডেন্টের মাথায় মন্তু আর টুনির পরকীয়া প্রেমের জিনিসটাই ঘুরে।
.
মাধ্যমিক লেভেল শেষ হলে উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্পণ শুরু হয়। সেখান থেকে মূলত আমাদের ম্যাচিউরিটি শুরু হয় আর এখানে আমরা অশ্লীলতার আরেকটা স্পর্শ পাই। সেটা হলো 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাস। যদিও এখানে মাঝিদের জীবনবৈচিত্র ফুটিয়ে তুলা হয়েছে তবুও মূল বিষয়টা ছিল কপিলা আর কুবেরের পরকীয়ার ঘটনা।
.
কলেজে থাকা অবস্থায় আমাদের মাসিক এক্সাম হতো। সেখানে সৃজনশীল প্রশ্ন 'ক' তে লিখা ছিল - 'কুবের ও কপিলার মাঝে সম্পর্ক কি?'। বইয়ের উত্তর টা ছিল দুলাভাই ও শালিকা সম্পর্ক। কিন্তু আমাদের এক ফ্রেন্ড লিখেছিল- 'কুবের ও কপিলার মাঝে অবৈধ সম্পর্ক ছিল'। এটা নিয়ে স্যার ক্লাসে অনেক বকাঝকা করেছিল যে উত্তরটি লিখেছিল তাকে উদ্দেশ্য করে। মূলত উত্তর টা কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ঠিকই ছিল।
.
কুরবানির আগে একরাতে একবন্ধুর রুমে গেলাম আড্ডা দিতে। বন্ধু ফেইসবুকে কার লগে যেন চ্যাটিং এ ব্যস্ত। উকি দিয়ে দেখি লুতুপুতু মেসেজ। বন্ধুকে বললাম,
- কিরে বেডা এই লুতুপুতু মেসেজ করস মাইয়াডা কি তোর জিএফ নাকি!
- আরে জিএফ না এলাকার এক ভাবি।
- তো কি হইছে! জিএফ বা ভাবি হইলেই কি লুতুপুতু চ্যাটিং করা লাগবে নাকি!
- আরে বেডা বুঝুস না পটাইতে পারলে কুরবানিটা জোস হবে।
- বুঝলাম না পটানোর সাথে কুরবানি জোস হওয়ার সম্পর্ক কি??
- তুই বুঝবি না। তুই মদ খা, মদ খাইলে বুদ্ধি হবে তোর।
.
এখানে কারে দোষ দিবো! আমার বন্ধুকে নাকি বন্ধুর এলাকার ভাবীকে??
আসলে দোষ আমাদের সমাজব্যবস্থার। একজন স্বামীর দুরত্বতার কারনে তার স্ত্রীর এই অবস্থা, আরেকজনের বিয়ের বয়স হয়েছে বলে এই অবস্থা।
.
সন্তান সাবালক হয়ে গেলেও পিতামাতা তার বিয়ের ব্যবস্থা করেনা যতক্ষণ না সে ইনকাম করা শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফিজিক্যাল ডিমান্ড কনজামশন করতে সন্তান বেছে নেয় নিষিদ্ধ উপায়। পিতামাতার কাছে কি সন্তানের উপার্জিত অর্থ বড় নাকি সন্তানের চরিত্র?? এ বিষয়ে আরো ভালভাবে অধ্যায়ন করতে চাইলে ডা. আলী তানতাবীর 'লেট ম্যারিজ' বইটা পড়তে পারেন। বলে রাখা ভাল উপরে বন্ধুর উদাহরণটি ছিল কাল্পনিক।
.
একটা ছেলের এবং মেয়ের যৌনাকাঙ্ক্ষার একটি চরম সময় দেখা দেয়। তাই সে সময় যদি তাদের বিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে তারা অন্যায় পথে চলে যাবে এটাই প্রমাণিত। বাংলাদেশের নিয়মানুসারে ছেলের বিয়ের বয়স হতে হবে ২১ আর মেয়ের ১৮। যদিও এর আগেই তাদের ঐ চরম আকাঙ্ক্ষা দেখা দেয় তবুও বাংলাদেশের এই নিয়ম টা মেনে চললেও কিছুটা ব্যাভিচার এবং পরকীয়া কমবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মেয়েদের তারাতাড়ি বিয়ে দেওয়া হলেও ছেলেদের বিয়ে করানো হয় ২৮/৩০ বছরের পর।
.
এখন ইন্টারনেটের যুগে যুবক শ্রেণী সহজে নীলছবির সংস্পর্শে আসায় এবং নারীরা ভার্চুয়াল লাইফে সহজে বেগানা মানুষের সাথে মিশে যাওয়ায় এই রকম জটিল ও কঠিন সম্পর্ক দিন দিন বাড়তেছে। ফলে ডিভোর্সের সংখ্যাও বাড়তেছে। কয়েকদিন আগে প্রথম আলোর ডিভোর্সের রিপোর্টটাও খুব ভাইরাল হয়েছিল।
.
গুগলে সার্চ দিলে দেখতে পাবেন বিখ্যাত যৌন গবেষকদের বিখ্যাত সব আর্টিকেল। সেখানে দেখবেন বেশিরভাগ কঠিন ও জটিল ধরনের যৌনরোগ হওয়ার মূল কারণ হলো অবৈধ মেলামেশা। তার মধ্যে সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস অন্যতম। যে রোগের ওষুধ নেই তা হলো এইডস। এই এইডসের মূল একটি কারণও কিন্তু অবাধ যৌনাচার।
.
এখন মূল কথা হলো এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি??
এই প্রশ্ন কয়েকজনকে করেছিলাম। বেশির ভাগ উত্তর হলো পরকীয়া যারা করে তাদের পাথর নিক্ষেপ করে জনসম্মুখে মেরে ফেলা। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
.
আমি পাল্টা আরেকটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলাম, 'যেখানে ধর্ষণের বিচার হয় না সেখানে আপনি পরকীয়ার শাস্তি কিভাবে আশা করেন!' তখন তার চুপ থাকা ব্যতীত উপায় ছিল না।
.
রাষ্ট্র কি করলো বা না করলো সেটা চিন্তা করলে দিন দিন উক্ত এই সমস্যাটি বাড়তেই থাকবে সমাধান আর হবে না। যারা এই পাপে লিপ্ত তারা এলিয়েন না, আপনার আমার মতই মানুষ। হয়তো ভবিষ্যতে আপনি আমি এই সমস্যায় জড়িয়ে যেতে পারি। তাই সমস্যার সমাধান আপনার আমার কাছেই।
.
একটা কথা মনে রাখা ভাল একজন নারীর প্ররোচনায় প্রলুব্ধ হয়ে কয়েকজন পুরুষ পাপিষ্ঠ হয়ে যায়। পুরুষের যে দোষ নেই তা বলাও বোকামি। কারন, লুলামি করার প্রথম খোঁচা কিন্তু পুরুষই দেয়। যা মেয়েদের ফেইসবুক ইনবক্স চেক করলেই দেখায় যায়।
.
কুরআনের যে আয়াতে নারীর পর্দার কথা বলা হয়েছে তার আগের আয়াতে পুরুষের পর্দার কথা বলা আছে। এই কথা শুনে অনেকেই বলবে এখন পুরুষরা কি বোরকা পড়ে ঘুরবে নাকি। না পুরুষদের বোরকা পরতে হবে না, পুরুষদের যা করতে হবে তা হলো -
"তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে।"
এটা আমার কথা নয়, এটা আল্লাহ তা'আলা সুরা নূরের ৩০নং আয়াতে বলেছেন।
.
এর পরের আয়াতে আল্লাহ বলেছেন নারীদের পর্দার কথা-
"তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র,
ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।"
.
যেখানে মামাতো, চাচাতো ভাইদের সাথে অবাধে দেখা স্বাক্ষাত হারাম সেখানে বেগানা পুরুষের সাথে প্রেম কিভাবে বৈধ হয়?? আর পরকীয়া প্রেম তো আরো জঘন্য। কিছু গফ ও বফ আছে যারা বিয়ের আগে শুধু প্রেম না সাথে ফিজিক্যাল রিলেশনও গড়ে তুলে। যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে রাসুল (সাঃ) তাদের বিয়ে করতে বলেছেন, সামর্থ্য না থাকলে রোজা রাখতে বলেছেন। কিন্তু প্রেম করতে বলেন নি।
.
প্রতিটি পুরুষের প্রধান কাজ হলো অর্থ উপার্জন করা। কিন্তু তার চেয়েও বড় কাজ হলো পরিবারের চরিত্র পবিত্র রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা। সেই জন্য আপনার দেশে রেখে যাওয়া স্ত্রী কিভাবে চরিত্রবান হিসেবে রাখবেন সেটা আপনার দায়িত্ব। একটা জিনিস মনে রাখবেন অভাবে স্বভাব নষ্ট। একজন প্রবাসী লোকের স্ত্রীর অভাব হলো শারীরিক চাহিদার, তাই সে ফিজিক্যাল ডিমান্ড কনজামশন করার জন্য স্বভাব জলাঞ্জলি দিতে পারে। তবে সবাই খারাপ না, অনেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বভাব ধরে রাখতে ফিজিক্যাল ডিমান্ড জলাঞ্জলি দেয়।
.
আর ভাইদের উচিৎ ভাবির লগে দেবরের যেন একটা দুরত্ব থাকে। বলে রাখা ভাল, ভাবির নিকট কিন্তু দেবর বেগানা পুরুষ। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ পরকীয়া সংগঠিত হয় ভাবি ও দেবরের মাঝে। তাই তাদের এই লুতুপুতু সম্পর্ক যেন গড়ে না উঠে সে জন্য ভাইয়ের উচিৎ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
.
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে একজন স্বামী বা একজন স্ত্রী। তাই দাম্পত্য জীবনে সুখি হওয়ার জন্য চরিত্র ডেভেলপমেন্টের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আচ্ছা নিজেকে প্রশ্ন করেন তো, আপনি কি চান আপনার বাবা-মা অথবা আপনার সন্তানেরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ুক। আপনি আমি কখনই তা চাই না। তাহলে আপনি আমি কিভাবে এই রকম সম্পর্কে জড়াতে দ্বিধাবোধ করিনা!! মনে রাখা উচিৎ আপনি আমি কারো না কারোর সন্তান, আপনি আমি হবো কোনো না কোনো সন্তানের বাবা অথবা মা।
.
হিন্দু ধর্মের মনুস্মৃতিতে পরকীয়ার শাস্তিস্বরূপ বেশ কিছু শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে৷ এগুলি হল-
১. নিজের স্ত্রী ছাড়াও অন্য কারোর সঙ্গে পরকীয়ায় যুক্ত থাকলে আপনার জীবনের
সময়কাল কমে আসছে ধীরে ধীরে৷
২. আপনি যখন আপনার এই মোহ থেকে বেরিয়ে আসবেন৷ তখন আপনি নিজের চোখেই বেশ কিছুটা নীচু হয়ে যাবেন৷
৩. আর্থিক ক্ষেত্রে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন৷
৪. আপনার মৃত্যুর পর কেউ আপনাকে আর মনে রাখবেনা৷ আপনাকে ঘিরে শুরু হবে নানারকমের অসম্মানজনক কাজকর্ম৷
৫) স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হবেনা আপনার৷ সাপের কামড়, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবে আপনার৷
.
যারা পরকীয়া এবং ব্যভিচার করে তাদের জন্য দুনিয়াতে শাস্তির বিধান তো করা হয়েছে পাশাপাশি আখিরাতেও রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। এই পাপের জন্য আল্লাহ তা'আলা অতীতে অনেক জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
.
এছাড়াও বলা হয়েছে-
'যারা পছন্দ করে যে, বিশ্বাসীদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।'
(সুরা আল ফুরকানঃ ৬৮)
.
আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, তিনি চাইলে যাকে খুশি ক্ষমা করতে পারেন, আবার চাইলে যাকে খুশি শাস্তি দিতে পারেন। যে পাপ হয়ে গেছে সে পাপের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে।
.
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন-
"আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ করো।"
(সুরা হুদঃ ০৩)
.
পাপের জন্য শুধু ক্ষমা চাইলেই হবেনা, আল্লাহ যেন তা কবুল করে সেজন্য আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করতে হবে। পাপ কাজ থেকে সরে আসতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন নিজের দ্বারা এই পাপ না হয় সেজন্য তওবা করতে হবে। পাশাপাশি মানুষদের সতর্ক করতে হবে।
.
ক্ষমার ব্যাপারে সুরা নূহ এর ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে-
"আল্লাহ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন।
.
একজন সন্তানের চরিত্র গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মা ও বাবা। তারা চাইলে তাদের সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। সেই জন্য মাটি নরম থাকতেই পাত্রের আকৃতি দিতে হবে অর্থাৎ বুদ্ধি শুরু হওয়ার আগে থেকেই সন্তানকে সঠিক আদর্শ শিক্ষা দিতে হবে এবং চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই। এই শিক্ষা যেন শুধু শিশুকালেই সীমাবদ্ধ না থাকে, মা ও বাবার উচিৎ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতিনিয়ত এই শিক্ষার প্রতি সন্তানদের অনুরাগী করে তোলা।
.
বর্তমান যে যুগ তাতে সন্তানরা মা বাবার বাধ্য থাকেনা। তবুও হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। প্রতিনিয়ত তাদের তদারকি করতে হবে এবং সে কোথায় কি অপরাধ করলো সেটা ছোট হোক বা বড় হোক তার জন্য তাকে শাসনের আওতায় আনা। মনে রাখবেন ছোট ছোট পাপ করলেও তার শাসন করা উচিৎ। যদি আপনি তা ছাড় দিন তাহলে এই পাপ বাপকেও ছাড়বে না। কথায় আছে না!
"ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তুলে মহাদেশ সাগর অতল।"
আর যারা এখন বুঝতে শিখেছেন তাদেরও উচিৎ মা বাবার কথা শোনা। কারন, মা বাবা কখনো সন্তানের অমঙ্গল চায় না।
.
সবশেষে আমার বন্ধু জাবেদের বই থেকে পাওয়া কয়েকটি লাইন দিয়ে শেষ করতে চাই-
"উষর মরুর ধূসর বুকে
ছোট্ট যদি শহর গড়ো,
একটি শিশু মানুষ করা
তার চাইতেও অনেক বড়।"
onek kicu jante parlam. Tnx
ReplyDelete