ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ
ঘড়ি দেখেই কি রাতের পর রাত পার করে দেন? সারা রাত ঘুমের দেখা না পেয়ে যখন ফজরের আযান শুনে আপনি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে আপনি অনিদ্রা রোগে ভুগছেন।
অনিদ্রা রোগ মানুষের জীবনে অভিশাপ সরূপ। ছাগল বা ভেড়া গুণে, ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টা পড়ে অথবা ধীর স্থির গান শুনেও যখন ঘুমের দেশের রানী ঘুম হয়ে আসতে চায় না, তাদের জন্য কিছু টিপস।
১) ঘুমানোর আগে ব্যায়ামঃ ঘুমাতে যাবার আগে হাল্কা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এটা আপনার শরীরকে ক্লান্ত করবে।
২) গরম দুধঃ রাতে ঘুমাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিন। এটি আপনার শরীরকে রিলাক্স করবে ও ঘুমাতে সহায়তা করবে।
৩) দুশ্চিন্তা নয়ঃ ঘুমাবার সময় রাজ্যের দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ব্যাপারটা সহজ নয়। তবু নিজেকে বলুন যে আপনি আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন। ঘুমাবার সময় ভালো কিছু, ইতিবাচক কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করুন। নয়তো আপনার মস্তিস্ক উত্তেজিত থাকবে বলে আপনি ঘুমোতে পারবেন না।
৪) ভালো কিছু ভাবুনঃ ইতিবাচক কিছু ভাবুন। ভাবুন কোনো স্বপ্ন নিয়ে, ভাবুন প্রিয় মানুষ বা বন্ধুটিকে নিয়ে। গঠনমূলক আর ইতিবাচক ভাবনা আপনাকে ভালোভাবে আরামে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
৫) উষ্ণ পানিতে গোসলঃ খুব ভালো হয় ঘুমাতে যাবার আগে উষ্ণ পানিতে গোসল করে নিতে পারলে। গোসলের পানিতে দিতে পারেন খানিকটা লেবুর রস অথবা গোলাপজল। অনেক স্নিগ্ধ লাগবে।
৬) ঘুমাবার আগে টিভি/ফোন নয়ঃ ঘুমাবার আগে টিভি, মুভি, ফোনে কথা বলা বা অন্য এমন কিছু করতে যাবেন না।
৭) কুরআন তেলওয়াতঃ ঘুমাবার আগে স্লো মোশনের কুরআন তেলাওয়াত শুনুন। এটা আপনার মনে প্রশান্তি আনবে আর ঘুমোতে সাহায্য করবে।
৮) ঘুমানোর নির্ধারিত সময়ঃ একটা রুটিন মেনে চলুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম করে ঘুমাতে যান, নিয়ম করে উঠুন। কিছুদিন এটা করলে দেখবেন, আপনার শরীর এই নতুন অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিয়েছে।
৯) চা/ কফি নয়ঃ এ দুটো কিছুদিন বন্ধ রাখুন। ক্যাফেইন আপনার ঘুমকে কমিয়ে দেবার জন্যে দায়ী। এর বদলে পান করুন প্রচুর ফলের রস।
১০) আরামদায়ক বিছানাঃ খেয়াল রাখুন আপনার বিছানাটা যাতে বেশী শক্ত, অতি নরম বা উঁচু নিচু না হয়। বিছানা আরামদায়ক হলে ঘুম আসবে এমনিতেই।
১১) ঘরের ভালো আবহাওয়াঃ ঘরের আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখুন। যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস খেলে। জানালার দিকে মুখ করে ঘুমান।
১২) বিছানা শুধু ঘুমাবার জন্যেইঃ চেষ্টা করুন বিছানা কেবল ঘুমাবার কাজেই ব্যবহার করার।
১৪) ঘড়ির শব্দ নয়ঃ দেয়াল বা টেবিল ঘড়ির কাঁটা যদি খুব শব্দ করে তবে কিছুদিনের জন্যে রাতে সেটা বন্ধ করে রাখুন। ভালো ঘুম হবে।
১৫) অল্প সময়ের ঘুম নয়ঃ ক্লাস, অফিস বা বাইরে থেকে ফিরে দুপুরে, বিকেলে বা সন্ধ্যায় ন্যাপ নেয়া বা অল্প সময়ের ঘুম এর অভ্যাস থাকলে তা দয়া করে বাদ দিন।
Comments
Post a Comment