হার্ট এট্যাকের কারণ ও প্রতিকার



হার্ট এ্যাটাক!!
শব্দ শুনলেই বুক ধড়পড় করে। যারা একটু সাহসী বলতে পারেন আমার এসব হয়না।
-
নিম্নে উল্লেখিত কিছু বিষয় পড়ে দেখেন, আপনার বুক ধড়পড় করবেই। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও সচেতন হতে উপদেশ দিন।
-
আমরা সবাই জানি বুকে ব্যাথা মানেই হার্ট-এ্যাটাক। আসলে তা নয় অনেক সময়
আপনি ঠিক বুঝে উঠার আগেই সব শেষ
হয়ে যাবে। আসুন জেনে নেই কিছু গুরত্তপূর্ণ তথ্যঃ
-
#যে_কারনে_হার্ট_এট্যাক_হতে_পারে
-
→ প্রধান এবং অন্যতম কারন হল ধূমপান,
→ ডায়াবেটিস এবং মেলিটাস ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা
→ উচ্চমাত্রায় দুশ্চিন্তা
→ জেনেটিক এবং বংশগত কারনেও এই
রোগ হয়
→ উচ্চমাত্রায় রক্তচাপ
→ অতিমাত্রায় তৈলাক্ত খাবার
→ স্থূলতা
-
#হার্ট_এট্যাকের_লক্ষণ_সমুহ
-
→ হার্ট-এ্যাটাক হলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট
হতে পারে এবং আপনার মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিবে। শরীর দুর্বল লাগতে পারে। বেশিরভাগ হার্ট-এ্যাটাক হয় ৪৫ বছর বা তারও বেশি বয়সী মানুষের।

→ মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের হার্ট
এ্যাটাকের ঝুকি ২ থেকে ৩ গুন বেশি।
শুধুমাত্র হার্ট এ্যাটাকের কারনেই ২৫
ভাগ মৃত্যু হয়।
→ মহিলাদের জানা উচিৎ যে সব সময় হার্ট-
এ্যাটাক হলে বুকের বাম পাশেই ব্যাথা
হবে এমনটি নয়।
চোয়ালের ব্যাথা সম্পর্কে সচেতন
হোন।

→ হার্ট এ্যাটাকের সময় আপনার প্রথমে
বুকে ব্যাথা নাও হতে পারে।
হার্ট এ্যাটাকের সময় বমি বমি ভাব এবং
ঘামানো স্বাভাবিক লক্ষন।

→ ৬০% হার্ট-এ্যাটাক মানুষের ঘুমের মধ্যেই হয় এবং তারা আর জাগ্রত হয়না। চোয়ালের ব্যাথার কারনে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক হোন। আমরা যত জানবো ততই বাচার সম্ভাবনা বেশি।
→ শোয়া অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাসে বেশী কষ্ট হওয়া
-
এক জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন
যে যত বেশি সচেতনতা বাড়ানো যাবে
ততই মানুষের বেচে থাকার সম্ভাবনা
বাড়বে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে
যে হার্ট-এ্যাটাক হওয়া প্রতি ৪ জনের
মধ্যে ১ জন মারা যায় শুধু সচেতনতার
অভাবে।
-
#ঘরোয়া_প্রতিকারঃ
-
#রসুনঃ রসুন আপনার
হৃৎপিণ্ডে করোনারি হৃদরোগের প্রবনতা
কমাবে, এছাড়াও যে কোন হৃদরোগের
ঝুঁকি থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
আপনি প্রতিদিন খাবারের সাথে কিছুটা রসুন
মিশিয়ে নিন, এটাকে অভ্যাসে পরিনত করুন
মনে করুণ আপনি একটা সাপ্লিমেন্ট
খাচ্ছেন। এটি আপনার ধমনীকে পরিষ্কার
করবে, ধমনীতে ব্লক হওয়া ও বুকের
ব্যাথা থেকে রক্ষা করবে।
-
#জাম্বুরাঃ জাম্বুরা কার্ডিওভাস্কুলার হৃদরোগ
জনিত প্রবণতা থেকে রক্ষা করবে।
এছাড়াও যে কোন হৃদরোগের ঝুঁকি
কমাবে।
-
#মুরগিঃ মুরগির মাংসে ভিটামিন বি-৬ আছে যা
আপনার হৃদপিণ্ড কে ভালো রাখবে।
প্রতিদিন ৩ আঊন্স মুরগির মাংস খেলে
আপনার ভিটামিন বি-৬ এর চাহিদা পূরণ হবে।
-
#সামন মাছঃ যদি আপনি খুব বেশি হৃদরোগ এর
ঝুঁকিতে থাকেন তাহলে খাবারে সামন মাছ ই
আপনার সঠিক পছন্দ হওয়া উচিত। এতে
আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যেটা
ট্রাইগ্লিসারাইড এর পরিমান কমাতে সাহায্য
করে এতে আপনার ধমনিতে ব্লক হওয়ার
ঝুঁকি কমে।
-
#পটাশিয়ামঃ পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
এবং আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করলে
করোনারি হৃদরোগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে
পারবেন। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে
আলু, সয়াবিন, স্ট্রবেরি, কমলা, বাদাম,
এপ্রিকট ও পেস্তা বাদাম অন্যতম।
-
#শরীরচর্চাঃ শরীরচর্চার মধ্যে পড়ে
এমন কোন কাজ করেন সপ্তাহে অন্তত
১৫০ মিনিট। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট
শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন। এটা হতে
পারে সাইক্লিং, সাতার কাটা, দ্রুত গতিতে হাটা,
যোগ ব্যায়াম ইত্যাদি।
-
#বর্জনীয়_বিষয়ঃ
ধূমপান এবং চর্বি জাতীয় খাবার।
কলেস্টরলের মাত্রা বেশি এমন
খাবার।
-
#বিশেষ_দ্রষ্টব্য
ঘরোয়া প্রতিকার আর চিকিৎসা এক
জিনিস নয়। যে কোনো রোগের
ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ
নিতে হবে।

Comments

Popular posts from this blog

সমকাম বা হোমোসেক্সুয়াল

বিভিন্ন ধর্মে নারীর পর্দা- তৌহিদ রাসেল

এক নজরে দোহার উপজেলা